ঢাকাশনিবার , ২২ জুলাই ২০২৩
  1. most-bet-giris.xyzsitesi mar
  2. Pusulabet
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. ঝালকাঠী
  10. ধর্ম
  11. পটুয়াখালী
  12. পিরোজপুর
  13. বরগুনা
  14. বরিশাল
  15. বরিশাল বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাস পুকুরে পড়ে ১৭ যাত্রী নিহত, ভান্ডারিয়ারই ৮ জন

কে এম তারেক অপু
জুলাই ২২, ২০২৩ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সমাচার প্রতিবেদক, ভান্ডারিয়া ॥ শনিবার সকালে ভান্ডারিয়া-বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস খাদে পড়ে ১৭ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ৩০ যাত্রী আহত হন। এর মধ্যে ৮জন ভান্ডারিয়া উপজেলার। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টায় প্রায় ৬৫-৭০ জন যাত্রী নিয়ে বাশার স্মৃতি পরিবহন নামে একটি মিনিবাস বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে ঝালকাঠী সদরের ধানসিড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ছত্রকান্দা এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পুকুরে পরে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই ১৩ জন যাত্রী নিহত হন এবং কমপক্ষে ৩০ যাত্রী আহত হয়। আহতদের ঝালকাঠী সদর হাসাপাতাল ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভার্তি করা হলে সেখানে আর ৪ যাত্রী মারা যান। নিহতদের মধ্যে ৮ জনের বাড়ি ভান্ডারিয়া উপজেলায়। এরা সকলেই বরিশালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। এরা হচ্ছেন দক্ষিণ ভান্ডারিয়ার পান্না বেপারীর ছেলে তারেক বেপারী (৪২), উত্তর পূর্ব ভান্ডারিয়া গ্রামের পিতা ও পুত্র ছালাম মোল্লা (৬৫) ও তার ছেলে শাহীন মোল্লা-২৫, পশারিবুনিয়া গ্রামের জালাল হাওলাদার’র মেয়ে সুমাইয়া (৬), পূর্ব ধাওয়া (পোদ্দার খাল) মা ও ছেলে রহিমা বেগম (৭০) এবং আবুল কালাম হাওলাদার (৫০), উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের ফজলুল হক মৃধার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৭৫) ও তেলিখালী গ্রামের রাসেল সিকদার এর স্ত্রী সাদিয়া আক্তার (২৪)। নিহত অন্যরা হচ্ছে রাজাপুরের খাদিজা বেগম (৪৩), খুশবু আক্তার (১৭), মো. নয়ন (১৬) বাকের গঞ্জের আব্দুল্লাহ (৮), মেহেন্দিগঞ্জের মা আইরিন আক্তার ও মেয়ে রিপা মনি (২), কাঠালিয়ার সালমা আক্তার মিতা (৪২)। নিহত সালাম মোল্লার ছোট ছেলে রাসেল মোল্লা জানান, সে তার বাবা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাবার চিকিৎসার বরিশালে যাচ্ছিলেন, চালকের পেছনের ছিটেই বসা ছিল সে। বাস ছাড়ার পর থেকে বাসের চালক বাড়তি যাত্রী ওঠানো জন্য বাসের সুপার ভাইজারের সাথে কথা বলছিল। গাড়ি চালাতে সে অমনযোগি ছিল সে। গাড়িটি ছত্রকান্দা বাসকান্দা ষ্ট্যান্ড পার হওয়ার পরই অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে উল্টে গিয়ে বেশিরভাগ যাত্রী পানিতে ডুবে মারা যায়। আল্লাহর রহমতে আমি বাসের জানালা থেকে বের হয়ে জীবনে বেচে যাই কিন্তু ঘটনা স্থলেই আমার বাবা ও বড় ভাই ট্রাক ড্রাইভার শাহীন ঘটনা স্থলেই মারা যান। নিহতদের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় তাদের স্বজনদের আহাজারীতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে তার মা মাহিনুর বেগম ও অন্তসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা আক্তার বার বার সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলছে। ভান্ডারিয়া বাজারের নিহত ওষুধ ব্যবসায়ী তারেক বেপারী বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকে তার স্ত্রী কেয়া অচেতন হয়ে পড়ে আছে। তার শ্বশুর কামাল হোসেন জানান, শিশু পুত্র মাহাদি (৭)কে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বরিশাল যাচ্ছিল তারেক। শিশুটি বেঁেচ গেলেও তার বাবা ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত শিশু পুত্র মাহাদি জানায়, বাসটি যখন পুকুরে পরে ডুবে যাচ্ছিল কে যেন তাকে জানালা দিয়ে টেনে বের করে আনে দূর্ঘটনায় তার ডান হাতটি ভেঙে গেছে। নিহত ৬ বছরের শিশু কন্যা সুমাইয়ার মা পিয়ারা বেগম জানান, মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা জন্য বরিশাল যাচ্ছিলাম। পথে বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে মেয়েটি মারা যায় আমি কোন রকমে জানালা থেকে মাথা বের করে মেয়েটির হাতের কাছে পেয়ে তাকে নিয়ে বের হই। ততক্ষণে দেখি সে মৃত। পূর্ব ধাওয়া গ্রামের মো. হারুন অর রশিদ জানান, পশারিবুনিয়া জামে মসজিদের ইমাম আবুল কালাম হাওলাদার তার মা রহিমা বেগমকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বরিশাল যাচ্ছিলেন দুর্ঘটনায় দুজনেই মারা যান। আবুল কালামই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যক্তি তার স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। নিহতের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ রুবেল জানান, আমার বাবা মারা যাওয়ায় সংসার চালানোর মত কেহ রইল না। ঝালকাঠী সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছে। সকলে পরিচয়া পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে ৮ জনের বাড়ি ভান্ডারিয়ায়। এছাড়া রাজাপুরের ২জন এবং কাঠালিয়ার একজন, বাকেরগঞ্জের একজন, মেহেন্দিগঞ্জের ২ জন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর জানান, নিহত পরবরকে দাফন কাপনের জন্য পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ১০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এদিকে ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মিরাজুল ইসলাম ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়রম্যান মিরাজুল ইসলাম জানান, নিহত পরিবারে লাশ পৌছানোর জন্য সকল এ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়েছে মিরাজুল ইসলাম ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন ও নিহত প্রতি ব্যক্তির ঘরে ঘরে রাতেই ৫০ হাজার টাকারে অনুদান পৌছে দিয়েছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।