বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা, শীর্ষ সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম মামুনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। দেশের বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে বুধবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জেলা পুলিশের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃতদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, চাপাতি ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসী মামুন বরিশালে ‘হাতকাটা মামুন’ হিসেবে পরিচিত।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন—ইয়াছিন মোল্লার ছেলে তৌকির মোল্লা (২২), আনোয়ার মোল্লার ছেলে রাতুল মোল্লা (২০) ও মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে মহিউদ্দিন মোল্লা (৪৩)। তাদের সবার বাড়ি বাকেরগঞ্জের ফরিদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপুর গ্রামে। গ্রেফতার আসামি তৌকিরের বিরুদ্ধে ০২টি, রাতুলের বিরুদ্ধে ৩টি এবং মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে ৪ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের চৌরাস্তায় তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। হাতকাটা মামুন এলাকাতে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত। তিনি ওই এলাকায় টানা ৩ বার নির্বাচিত মেম্বর ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইছাপুর চৌরাস্তা থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে বশির গাজির বাড়ির সামনে পৌঁছায় মামুন। তখন ওৎপেতে অস্ত্রধারীরা কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তা সংলগ্ম বাগানে ফেলে চলে যায়। এঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় বাকেরগঞ্জ থানা সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদারের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার বিকালে তাদের সঙ্গে নিয়ে পৃথক স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মিডিয়া পয়েন্ট কর্মকর্তা রেজওয়ান আহমেদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাকেরগঞ্জ সার্কেল ফরহাদ সরদার ও বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন প্রমুখ।
