ভারত ৪৯.৫ ওভারে ২৫৯/১০ (প্রসিদ্ধ ০*, শামি ৬, অক্ষর ৪২, শার্দুল ১১, গিল ১২১, জাদেজা ৭, সূর্যকুমার ২৬, ইশান ৫, রাহুল ১৯, তিলক ৫, রোহিত ০)
বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৬৫/৮ (তানজিম সাকিব ১৪*, মেহেদী ২৯*, নাসুম ৪৪, হৃদয় ৫৪, লিটন দাস ০, তানজিদ ১৩, এনামুল ৪, মিরাজ ১৩, সাকিব ৮০, শামীম ১)
ফল: ৬ রানে জয়ী বাংলাদেশ।
ভারত ও বাংলাদেশ ক্রিকেট মাঠে নামলেই হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। জয়ের সুবাস পেতে গিয়েও শেষমেশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। তীরে গিয়ে ডোবে তরী। এবার আর তেমন কিছু হলো না। দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে এবারের ফাইনালিস্ট ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শেষ করলো বাংলাদেশ। ১১ বছর পর এশিয়া কাপে প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে জিতলো তারা। এর আগে ২০১২ সালে শেষবার ভারতকে হারায় তারা।
শুবমান গিলকে ১২৩ রানে বিদায় করার পর ভারত চাপ কাটিয়ে ওঠে অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভারত আবারও বাংলাদেশকে হতাশায় ভাসাতে বসেছিল। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান তার শেষ ওভারে জোড়া আঘাত হেনে দারুণ অবস্থানে নেন বাংলাদেশকে। শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল ভারতের। বাংলাদেশের লাগতো এক উইকেট। পুরো ম্যাচে দারুণ বোলিং করা তানজিম হাসান সাকিব শেষ ওভারে চমৎকার বোলিংয়ে সেই রান ডিফেন্ড করেন। প্রথম তিন বলে ডট দেন। চতুর্থ বলে চার মেরে মোহাম্মদ শামি উত্তেজনা ছড়ান। পঞ্চম বলে দুটি রান নিতে গিয়ে তানজিদ হাসান তামিমের থ্রোতে লিটন দাস স্টাম্প ভেঙে দিলে তিনি রান আউট হন। ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। বাংলাদেশ জেতে ৬ রানে।
প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট নেওয়া তানজিম সাকিব ৭.৫ ওভার বল করে ৩২ রান দেন। সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুটি পান মেহেদী হাসান।
মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত
নিজের অষ্টম ও দলের ৪৯তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে শর্ট লেগে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে আশা জাগান মোস্তাফিজুর রহমান। একই ওভারে পঞ্চম বলে অক্ষর প্যাটেলকে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ বানান তিনি। ৪২ রানে আউট হন ভারতীয় ব্যাটার।
চার-ছক্কায় শেষ দুই ওভারে ভারত লক্ষ্য নামালো ১৭ রানে
জমে উঠেছে ভারত ও বাংলাদেশের ম্যাচ। শুবমান গিলকে ফিরিয়ে ভারতকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে অক্ষর প্যাটেল ও শার্দুল ঠাকুর সতর্ক ব্যাটিংয়ে আগাচ্ছেন। শেষ তিন ওভারে তাদের দরকার ৩১ রান, বাংলাদেশের লাগতো ৩ উইকেট। মেহেদী হাসানকে ৪৮তম ওভারের শেষ দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে উল্টো বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন অক্ষর। শেষ ১২ বলে ১৭ রান দরকার ভারতের।
গিলকে ফিরিয়ে ভারতকে চাপে ফেললো বাংলাদেশ
ডিপ মিডউইকেট দিয়ে মেহেদী হাসানকে বিশাল ছক্কা মারেন শুবমান গিল। বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেন। তবে পরের বলেই ল অফে আরেকটি বড় শট খেলেন তিনি। এবার তাওহীদ হৃদয় ডানদিকে সরে এসে ক্যাচ ধরেন। ১৩৩ বলে ৮ চার ও ৫ ছয়ে ১২১ রানে থামেন গিল। দলীয় ২০৯ রানে এই সপ্তম উইকেট নিয়ে ভারতকে চাপে ফেললো বাংলাদেশ।
সেঞ্চুরিতে গিলের এক হাজার
ভারত ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পরের ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের দ্বিতীয় ডেলিভারি থেকে দুই রান নিয়ে সেঞ্চুরি করেন শুবমান গিল। এটি তার পঞ্চম ওয়ানডে শতক, আর এই ইনিংস খেলার পথে ২০২৩ সালে এক হাজার ওয়ানডে রান অতিক্রম করেন তিনি।
মোস্তাফিজের সুইংয়ে বোল্ড জাদেজা
দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়ে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৩৮তম ওভারের চতুর্থ বলে তার সুইং রবীন্দ্র জাদেজার মিডল স্টাম্প ভাঙেন। ১৭০ রানে ভারতের ৬ উইকেট পেলো বাংলাদেশ।