বরিশালের সরকারি দুই বিদ্যালয়
সমাচার প্রতিবেদক ॥ বরিশাল জিলা স্কুল ও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আট শিশু শিক্ষার্থীকে যে কোনো উপায়ে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ভর্তিবঞ্চিত ওই শিক্ষার্থীদের পক্ষে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ আগস্ট এ আদেশ দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও শওকত আলী চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চ। গত বুধবার আদালতের আদেশের কপি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারী অভিভাবক ইমরান মাহবুব। রিট আবেদনকারীর আইনজীবী শাখলেদ জানান, এর আগে ৮ জুন ওই শিক্ষার্থীদের ৭ দিনের মধ্যে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তখন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসন শূন্য না থাকার অজুহাতে সেই আদেশ উপেক্ষা করেন। এবারের আদেশে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করতে বরিশাল জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। রিটকারী ইমরান মাহবুব বলেন, ওই দুই বিদ্যালয় প্রতি বছর তৃতীয় শ্রেণিতে ২৪০ শিক্ষার্থী ভর্তি করে। এবার একাধিক জন্মনিবন্ধন ধরা পড়ায় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ৫৬ এবং জিলা স্কুলে ৪০ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ওই আসন পূরণ করার কথা। তবে দুই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই সহোদর ও যমজ কোটার নামে আসনগুলো পূরণ করে। পরে ভর্তিবঞ্চিত সাধারণ কোটায় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ অভিভাবকের পক্ষে তিনি রিটটি করেন। পরে দুই অভিভাবক সরে যান। বিদ্যালয় দুটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানান, ভর্তির বিষয়ে উচ্চ আদালতের আগের নির্দেশ পেয়েছিলেন। নতুন আদেশ এখনও পাননি।